সুকুমার সরকার, ঢাকা: দিনের পর দিন স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নিজের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ! অবশেষে স্ত্রীর তৎপরতাতেই গ্রেপ্তার হল কলঙ্কিত বাবা। ঘটনা বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম রবিউল শেখ। সে ঘুমপাড়ানি ওষুধ খাইয়ে স্ত্রীকে অবচেতন করে রাখত। তারপর প্রায় দু’মাস ধরে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ (Rape) করে আসছিল। অভিযুক্ত রবিউল শেখের স্ত্রী ময়না খাতুনই অভিযোগ করেছেন। তিনি শ্যামনগর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান, ওই দিন ঘটনার রাতে আচমকা তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি পাশের ঘরে গিয়ে দেখেন, নিজের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চলছে। বুঝতে পারেন, আর কেউ নয়, নিজের বাবাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, দেখে নিন ২০২৩-এর পরীক্ষাসূচি]
তা দেখেই ময়না স্থানীয়দের সাহায্যে জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার স্বামীকে আটক করে। ময়না খাতুনের অভিযোগ, অসুস্থতার সুযোগে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে মিলিয়ে গত কয়েকমাস ধরে রাতে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে রাখা হত। আর সেই সময় স্বামী পাশের ঘরে থাকা স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের গলায় ছুরির ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করত। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নিজের সন্দেহের কথা প্রকাশ করলেও বারবার তা অস্বীকার করে আসছিল রবিউল শেখ। স্বামীকে ফেরাতে না পেরে বাধ্য হয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশে জানান।
[আরও পড়ুন: বিতর্কিত ইসলামিক সংগঠন পিএফআইয়ের পিছনে চিন? আসত বিপুল অর্থ!]
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বছর পঁয়তাল্লিশের রবিউল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করার পর কারাবাসে পাঠানো হয়েছে রবিউলকে।