সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম বলে প্রেম! একেবারে অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক যাকে বলে। প্রেমিকার মৃত্যুর পরও তাকে নিজের সঙ্গে রাখতে আস্ত মৃতদেহটাই গিলে ফেলল জাপানি যুবক। তারপর কাটল প্রেমিকাকে হারানোর হতাশা। এতটা পড়ে আশ্চর্য হচ্ছেন? তাহলে চমকে যাওয়ার মতো আরও তথ্য আছে।
জাপানের যুবক ইউমা। পেশায় সে পতঙ্গ খাদক। অর্থাৎ বিকল্প খাদ্যতালিকায় কী কী থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণার কাজে যুক্ত। বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ পরীক্ষানিরীক্ষা করে। অনেক সময় পতঙ্গ ভক্ষণও গবেষণার একটি অংশ হয়ে ওঠে। এমনিতেও জাপানের মতো দেশে কীটপতঙ্গ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা অভ্যাসের মধ্যেই পড়ে। ইউমা পরীক্ষার জন্য আফ্রিকা থেকে একটি আরশোলা কিনেছিল। নাম দেয় লিসা। তাকে নিয়ে গবেষণা চালানোর মাঝে ইউমা নাকি লিসার প্রেমে পড়ে যান। যাকে তিনি নিজেই বলছেন, ‘প্লেটোনিক লাভ।’
ভীতি’ই এখন ‘ভীত’! ডিনার প্লেট সাজছে লুপ্তপ্রায় হাঙরের মাংসে
সেই প্রেমপর্ব চলে বছর খানেক। এরপর জাপানের আবহাওয়ায় আফ্রিকান আরশোলার জীবনযুদ্ধ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১ বছর পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লিসা। ভেঙে পড়ে ইউমা। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমার পক্ষে ওর মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারি, ওর পৃথিবীতে থাকার আয়ু খুব কম ছিল। এটাই ছিল ওর নিয়তি।’ এরপর ইউমা যা করল, সেটাই চমকে ওঠার মতো। সিদ্ধান্ত নিলেন, প্রেমিকাকে নিজের একটা অংশ করে নিতে হবে। কীভাবে তা করা যায়? সোজা লিসার দেহ পেটে চালান করে দিল ইউমা। এভাবেই সে প্রেমিকাকে একাত্ম করে নিল নিজের মধ্যে।
খাবার টেবিলে চরম বচসা, বিয়ের পরক্ষণেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নবদম্পতির
ইউমার এই পতঙ্গপ্রেম অনেকেরই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। এমন আজব প্রেমকাহিনি শুনে বিস্মিত হচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু মনোবিদরা শোনাচ্ছেন অন্য কথা। বলা হচ্ছে, যেভাবে মানুষ পশুপ্রেমী হয়ে ওঠেন, পতঙ্গপ্রেমও তেমনই মানুষের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আর তাছাড়া প্রেম তো অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কখন, কার হৃদয়ের সূক্ষ্ম তন্ত্রীতে কীভাবে বাজে, কে-ই বা বুঝতে পারে। তেমনই ইউমার প্রেম হয়েছিল এক আরশোলার সঙ্গে। এতে অস্বাভাবিকত্ব কিছু নেই। বরং প্রেমকে অমর করে রাখতে তার সিদ্ধান্ত সাধুবাদযোগ্য।
The post ‘প্রেমিকা’কে একাত্ম করে রাখতে আস্ত দেহ গিলে ফেলল যুবক! appeared first on Sangbad Pratidin.