সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই তীব্র হচ্ছে ডিপফেকের আতঙ্ক। এবার সামনে এল এই প্রযুক্তির হাত ধরে পাতা প্রতারণার ফাঁদ! বন্ধুর সাহায্য করতে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী!
ডিপফেক ভিডিওর (Deepfake Video) শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা। অন্য এক মহিলার মুখে তাঁর মুখ বসিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ অমিতাভ বচ্চন। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু শুধুই সেলেবরা নন, সাধারণ মানুষও এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফাঁদে পড়ে বিপদে পড়ছেন। ঠিক যেমনটা হয়েছে রাধাকৃষ্ণন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কি খেলবেন রোহিত-কোহলিরা? ইঙ্গিত মিলল দ্রাবিড়ের সাংবাদিক বৈঠকে]
কীভাবে ডিপফেকের ফাঁদে পড়লেন তিনি? ঘটনা গত জুলাই মাসের। একটি অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান রাধাকৃষ্ণন। নিজেকে তাঁর বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ এবং তার জন্য টাকার প্রয়োজন। রাধাকৃষ্ণনের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁকে ভিডিও কলও করা হয় ওই নম্বর থেকে। কিন্তু সেই কলে ফ্রন্ট ক্যামেরাটি মুখের খুব কাছে ধরা হয় যাতে স্পষ্ট বোঝা না যায়। কয়েক সেকেন্ড পরই ফোনটি কেটে দেওয়া হয়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে তাঁরই বন্ধুর ডিপফেক ছবি ব্যবহার করে করা হয়। ফলে রাধাকৃষ্ণন সত্যিটা ধরতেও পারেননি। অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পর বোঝেন কী কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।
এমন বিষয় থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে জেনে রাখা জরুরি যে কীভাবে বুঝবেন কোনও ছবি বা ভিডিও ডিপফেক কি না। সবার আগে ভালোভাবে খুঁটিয়ে ভিডিও কিংবা ছবিটি দেখতে হবে। যদি চোখে ধরা পড়ে চোখের পলক পড়ার মধ্যে অসামঞ্জস্য কিংবা মুখের আদলে অস্বাভাবিক ভাব অথবা অন্যরকমের কণ্ঠস্বর বা ঠোঁটের সন্দেহজনক নড়াচড়া। তাহলে বুঝতে হবে ভিডিও বা ছবিটি ভুয়ো। ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। সতর্ক থাকুন, সতর্ক রাখুন।