বিপ্লব দত্ত,কৃষ্ণনগর: স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলছে। এমনটা জানতে পেরেছিলেন স্বামী। স্ত্রীকে বারবার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন বারবার। যুবককেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ফলে পরিণতি হল ভয়ংকর।
জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা সহ্য করতে না পেরেই অবশেষে ওই যুবককে খুনের ছক কষেন স্বামী। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে তাঁর সঙ্গ দেন স্ত্রীও। পরিকল্পনামাফিক স্ত্রীকে দিয়ে সেই যুবককে ডাকিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রথমে খুন করা হয় যুবক। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মৃতদেহের ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করা হয়। এরপর দেহটি ভাসিয়ে দেওয়া হয় মাথাভাঙ্গা নদীর জলে। আর একটি কলাবাগানের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয় মুন্ডু। মৃতের জামাকাপড়ও পুঁতে দেওয়া হয় সেখানে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুর গ্রামে।
[আরও পড়ুন: ‘আদালতের বাইরে মিথ্যা বলছেন’, ফের এজলাসে অরুণাভ ঘোষকে তোপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
প্রেমিককে খুন করতে স্বামী, স্বামীর এক বন্ধু ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গ দেন ওই মহিলা। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়এছে তিনজনকে। চতুর্থজনের খোঁজ চলছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে খবর। পুলিশ শুক্রবার বিকেলে কাটা মুন্ডু এবং মৃতের জামাকাপড় উদ্ধার করে। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি নদীতে ফেলে দেওয়া দেহের। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বাবুসোনা ঘোষ (৩৫)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার মায়াকোল। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের নেতাস্থানীয় ছিলেন বলে খবর। ধুবুলিয়াতেই বাড়ি প্রহ্লাদ ঘোষ নামে একজনের। সেই প্রহ্লাদ ঘোষের স্ত্রী নমিতা ঘোষের সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাবুসোনার। স্ত্রীর আচরণে প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল প্রহ্লাদের। ক্রমে তিনি নিশ্চিত হন। কিন্তু সেই সম্পর্কে ইতি টানার কথা বলে লাভ না হওয়াতেই স্ত্রী ও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে এই নৃশংস কাণ্ড ঘটান প্রহ্লাদ। নমিতা, তাঁর ভাই শংকর ঘোষ ও প্রহ্লাদকে গ্রেপ্তার করলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রহ্লাদের বন্ধু।