অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভরসন্ধেয় বারাকপুরে (Barrakpore) যুবককে কোপানোর ঘটনায় উঠে এল সম্পর্কের টানাপোড়েনের তত্ত্ব। আক্রান্তের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। তা জানাজানি হওয়ায় শুরু হয়েছিল দাম্পত্য কলহ। যার জেরে এই নৃশংসতা ঘটনা বলেই পুলিশ সূ্ত্রে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। এদিন সন্ধেয় কাজ সেরে বারাকপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলিয়াতালি রোডে হয়ে ফিরছিলেন বছর ৩৭-এর সুরজিত সিং। সেই সময় আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাঁকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সুরজিৎ। পথ চলতি স্থানীয় মানুষজন সম্বিত ফিরতেই খবর দেন স্থানীয় পুরপিতাকে। বেশ কিছুক্ষণ ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন সুরজিৎ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় টিটাগর থানায়। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আদালত অবমাননার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]
রাতেই ঘটনার তদন্তে নামে টিটাগর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রবি সিং ওরফে বুচুকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সুরজিতের স্ত্রী পারমিতা সিং দাস। তাঁদের বিয়ের আগে থেকেই বুচুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পারমিতার। বিয়ের পরও চলছিল সম্পর্ক। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা কিছুদিন আগে সুরজিৎ জানতে পেরে যান। ফলে পারমিতাকে বেধড়ক মারধর করেন ও তাঁর ফোন কেড়ে নেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাগেই সুরজিতের উপর আক্রমণ করেছে বুচু। শুক্রবার সকালে ধৃত বুচুকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় অভিযুক্ত জানায়, তাকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছিল। সুরজিৎ হুমকি দিয়েছিল সেই কারণেই আক্রমণ চালিয়েছে সে।