ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: সাধ করে সোনার গয়না কিনতে চলে গিয়েছিলেন অন্য জেলায়। পকেটভরতি টাকা, কিন্তু নোটগুলি সবই জাল। ভেবেছিলেন বোধহয় ভিন জেলায় জালনোটের ফাঁকিটা কেউ ধরতে পারবে না। বাস্তব যদিও প্রত্যাশার সঙ্গে মিলল না। ৫০ হাজার টাকার জালনোট-সহ (Fake Currency) প্রতারককে হাতেনাতে ধরে ফেললেন দোকানি। আর তারপর চলল বেধড়ক মার। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাকে। ঘটনা ঘিরে বারাসতের (Barasat) নবপল্লি এলাকা দিনভর উত্তপ্ত ছিল।
শনিবার বেলার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে আসে এক ব্যক্তি। নবপল্লির ‘মা দেবী জুয়েলার্স’-এ গিয়ে সোনার দরদাম করছিলেন। প্রথমে কারও কোনও সংশয় হয়নি। দু, একটা কানের দুল পছন্দও করছিলেন। কিন্তু দাম মেটাতে গিয়েই বাঁধে ঝঞ্ঝাট। টাকাগুলি দেখেই দোকানি বুঝতে পারেন যে তা আসল নয়, জালনোট। এ নিয়ে প্রথমে ক্রেতার সঙ্গে দোকানির বচসা শুরু হয়। এরপর তা চরমে পৌঁছলে আশেপাশে ভিড় জমে যায়। ওই জালনোট-সহ ক্রেতাকে আটকে রাখেনব দোকানের কর্মচারীরা। এরপর অন্যান্যদের প্রবল জেরার মুখে জালনোটের কথা স্বীকার করে ক্রেতা।
[আরও পড়ুন: সৌমিত্র খাঁকে থানায় ঢুকতে বাধা, নাবালকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বন্ধ ঘিরে রণক্ষেত্র মল্লারপুর]
এরপরই আচমকা মারমুখী হয়ে ওঠে উত্তেজিত জনতা। দোকানের সামনে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে তাকে ব্যাপক মারধর চলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫০ হাজার টাকার জালনোট। পরিস্থিতি ক্রমশই আরও অশান্তকর হতে থাকে। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে জালনোট রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোথা থেক এত জালনোট এল, এ কি নিছকই প্রতারণার ছক নাকি জালনোট নিয়ে বড়সড় কারবারে জড়িত এই ব্যক্তি, সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।