সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) গান্ধী পরিবারকে দিনরাত বাপ-বাপান্ত করেন বিজেপি নেতারা। এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) গান্ধী পরিবারকে কোণঠাসা করার কোনও সুযোগ ছাড়েন না। অথচ গত কয়েক বছর ধরে বিজেপির অন্দরেই জাঁকিয়ে বসেছিলেন জনা দুয়েক গান্ধী। প্রয়াত সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী ও পুত্রকে এবার সম্ভবত পুরোপুরি বিদায় জানাতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
মানেকা গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধী (Sanjay Gandhi) সম্ভবত আর বিজেপির টিকিট পাচ্ছেন না। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর এবং পিলভিটের সাংসদ মানেকা এবং বরুণ। কিন্তু গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, দলের দুই গান্ধীকে আর টিকিট দেওয়া হবে না। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব আর বরুণ-মানেকাদের প্রার্থী হিসাবে মানতে চাইছেন না। সম্ভবত সেকারণেই মানেকা এবং বরুণকে আর টিকিট আর দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: সাতপাক ছাড়া হিন্দু বিবাহ অবৈধ, মন্তব্য এলাহাবাদ হাই কোর্টের]
সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর সোনিয়াদের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিজেপিতে যোগ দেন মানেকা। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বরুণও। একটা সময় বিজেপিতে বেশ প্রতিপত্তিও তৈরি করে ফেলেছিলেন তাঁরা। মানেকা বিজেপির টিকিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। আর বরুণ নিজে সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি একটা সময় দলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে গেরুয়া শিবির তাঁদের গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: হঠাৎ কেন ‘গেরুয়া’ হল বন্দে ভারত! ‘রাজনীতি নয়, বিজ্ঞান’, বলছেন রেলমন্ত্রী]
আসলে বরুণ গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর সঙ্গে দূরত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ছে বিজেপির। বরুণ প্রায় নিয়মিতই নিজের দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। শোনা যাচ্ছিল, একটা সময় দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানেরও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বরুণ। যদিও রাহুল গান্ধীর আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে গান্ধীদের টিকিট না দেওয়ার সেটাও একটা কারণ হতে পারে।