সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ মাস পরে জামিন পেলেন মণীশ সিসোদিয়া। শুক্রবার সকালে তাঁকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। এদিন জামিন দিয়ে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, দিনের পর দিন সিসোদিয়াকে জেলে আটকে রাখাটা তাঁর নৈতিক অধিকারের বিরোধী। তবে জামিন দিলেও আপ নেতাকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
আবগারি দুর্নীতিতে ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিসোদিয়া। তার পরে একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে আদালত। আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের পরে ইডির হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তার পরে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেও ধাক্কা খান তিনি। শীর্ষ আদালত রায় দেয়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেই কারণেই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন।
[আরও পড়ুন: পাম অ্যাভিনিউয়ের নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরণী! প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সিদ্ধান্ত পুরসভার]
তবে অক্টোবর মাসেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যদি ধীর গতিতে বিচার এগোয় তাহলে ফের জামিনের আবেদন করতে পারেন আপ নেতা। অবশেষে শুক্রবার জামিন পেলেন আপ নেতা। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি আর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন বলেন, আপ নেতাকে দ্রুত বিচার দেওয়ার কথা ছিল। এখন যদি আবার ট্রায়াল কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হবে।
দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি থাকার পরে অবশেষে মুক্তি। সিসোদিয়ার জামিনের খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই মিষ্টি বিতরণ শুরু করেন আপ কর্মী-সমর্থকরা। দলের সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকারকে এটা যোগ্য জবাব। দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি থাকার পরে সিসোদিয়া মুক্তি পেয়েছেন। একইভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মুক্তি পাবেন বলেই আশাবাদী তিনি।