অর্ণব দাস, বারাসত: জেলে ভালো আচরণের পুরস্কার। মায়ের অসুস্থাতার খবর পেয়ে ৬ ঘণ্টার জন্য বাড়ি আসার অনুমতি পেলেন মনুয়া মজুমদার। প্রায় ৬ বছর পর বারাসতের (Barasat) নবপল্লীর ষষ্ঠীপুকুরের বাড়িতে পৌঁছন স্বামী খুনে সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া। এতবছর পর মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশি পরিবার।
২০১৭ সালের ২ মে। উত্তর চব্বিশ পরগনার হৃদয়পুরের তালপুকুরের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন অনুপম সিংহ। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ দিন পর অশোকনগরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অজিত রায় নামে এক যুবককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মৃত অনুপমের স্ত্রী মনুয়ার সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পথের কাঁটা সরাতেই মনুয়ার সঙ্গে পরিকল্পনা করে অনুপমকে খুন করে তারা। ২০১৯ সালে মনুয়া দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
[আরও পড়ুন: পুনমের সঙ্গে কীভাবে আলাপ? মডেলের মৃত্যু বিভ্রাটের মাঝে ফোনে অতিষ্ঠ বালুরঘাটের যুবক]
বর্তমানে বর্ধমান সংশোধনাগারই ঠিকানা মনুয়া মজুমদারের। জানা গিয়েছে, জেলে মনুয়ার প্রতিভার প্রকাশ পেয়েছে। ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে তাঁর নাচ মুগ্ধ করেছে বর্ধমানবাসীকে। তার আচরণও নাকি খুব ভালো। সকলেই তার প্রশংসা করেন। সম্প্রতি মনুয়ার কাছে তার মায়ের অসুস্থতার খবর পৌঁছয়। সূত্রের খবর, ভালো আচরণের কারণেই ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে বাড়ি আসার অনুমতি পেয়েছে মনুয়া। সোমবার সকালে বর্ধমান থেকে পুলিশের গাড়িতে বারাসত পৌঁছয় মনুয়া। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত থানায়। সেখান থেকে যায় বাড়িতে। ৬ ঘণ্টা পেরলে ফের বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে মনুয়া।