সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভারতীয় ডাকবিভাগের লোগো লাগানো বস্তাবন্দি আধার কার্ড উদ্ধার হল ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকান থেকে। ওই বস্তায় মিলেছে ডাকঘরের পাসবই থেকে এটিএম কার্ডও। সোমবার পুরুলিয়া পুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ভগৎ সিং মোড়ে একটি ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকান থেকে ডাকবিভাগের লোগো দেওয়া প্রায় দু’টি বস্তা থেকে আধার কার্ড, ডাকঘরের পাসবই, ব্যাংকের এটিএম কার্ড, সরকারি নানান চিঠি সহ কাগজপত্র উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ওই কাবাড়িখানার মালিক জানিয়েছেন, তিনি ফেরিওয়ালার কাছ থেকে এই বস্তা কেনেন। এই খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকান যান। তারপরেই পুরুলিয়া ডাকবিভাগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পুলিশ ওই কাবাড়িখানা থেকে ডাকবিভাগের লোগো লাগানো ওই দুই বস্তা-সহ মোট ১৪টি বস্তা উদ্ধার করে। ওই কাবাড়িখানার দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় ডেকে পাঠায়। পুরুলিয়া ডাকবিভাগের সুপারিনটেন্ট নির্মল চন্দ্র সোরেন বলেন, ” ওই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: মুসলিম নাগরিকদের সরিয়ে সুরাটে পরমাণু বিস্ফোরণের ছক, অভিযুক্ত ইয়াসিন ভাটকল-সহ ১১ জঙ্গি]
অতীতেও এই জেলায় আধার কার্ড মিলেছিল রাস্তায়, এমনকী পুকুরের জলে। প্রশ্ন কীভাবে ডাকবিভাগের বস্তাবন্দি করে আধার কার্ড কাবাড়িখানায় চলে এল? বিধি অনুযায়ী এই আধার কার্ড, ডাকঘরের পাসবই, এটিএম কার্ড ডাকবিভাগ মারফত আবেদনকারীদের কাছে পৌঁছয়। কিন্তু সেই ঠিকানা বদল হয়ে ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকান আসায় ডাকবিভাগের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে ভাঙাচোরা সামগ্রীর দোকানের মালিক মুকাররম আলি বলেন, “আমার কাবাড়িখানার লাইসেন্স রয়েছে । আমি ওই বস্তাগুলো এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কিনেছিলাম। আমি তো আর জানি না যে বস্তার মধ্যে আধার কার্ড, এটিএম কার্ড, পাসবুক রয়েছে। ” এদিন এই কাবাড়িখানায় সকালের দিকে একটি বস্তা খুলতেই আধার কার্ড দেখতে পাওয়া যায়। আরেকটি বস্তা থেকে উদ্ধার হয় ডাকঘরের পাস বই ও এটিএম কার্ড। তারপরেই এই ঘটনা চাউর হয়ে যায় ওই এলাকায়।