shono
Advertisement

Breaking News

গাইঘাটায় পদ্ম শিবিরে ভাঙন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে পঞ্চায়েত সদস্য ও যুব মোর্চার সভাপতি-সহ বহু

অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গেরুয়া শিবিরে কাজ করতে না পারায় দলবদলের সিদ্ধান্ত, দাবি দলত্যাগীদের।
Posted: 09:09 AM Sep 13, 2021Updated: 09:09 AM Sep 13, 2021

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের বিজেপিতে (BJP) ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন গাইঘাটার পঞ্চায়েত সদস্য-সহ যুব মোর্চার সভাপতি। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গেরুয়া শিবিরে কাজ করতে পারছিলেন না। সে কারণেই দলবদলের সিদ্ধান্ত বলেই জানান সদ্য দলত্যাগীরা।

Advertisement

রবিবার বিকেলে ফুলশরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা এবং চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি-সহ অন্তত ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে ফুলসারা এলাকার দলীয় কার্যালয়টিও হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের (TMC) বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানি সরকার এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস।

[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: প্রতিমা তৈরি থেকে পুজো, নিজের হাতে দুর্গা আরাধনায় মগ্ন সিউড়ির নবম শ্রেণির ছাত্র]

তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে সদ্য দলত্যাগীরা জানান, “বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই দলত্যাগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত।” উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার টিটাগড়ে (Titagarh) গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরে। নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার‌ ঘনিষ্ঠ এক নেতা-সহ অন্তত ২০০০ জন যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির।

গাইঘাটায় (Gaighata) দলে ভাঙনের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয় দখল করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, “কোনও দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়নি। যাঁরা বিজেপিতে ছিলেন তাঁরা সবাই এখন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সে কারণে এমন অভিযোগ করছেন বিজেপি নেতারা।”

দলীয় কর্মীদের দলত্যাগ নিয়ে প্রকাশ্যে বিশেষ মাথা ঘামাতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শাসকদলের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত পদ্মশিবির। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, “‌সারা রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে ধমকানি, চমকানি, প্রশাসন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের দলবদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাঁচার তাগিদে তাঁরা দল ছাড়ছেন।” বিজেপি নেতার অভিযোগ খারিজ করেছে ঘাসফুল শিবির।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: ফের চিড়িয়াখানায় আতঙ্ক! করোনা আক্রান্ত অন্তত ১৩টি গরিলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার