সুকুমার সরকার: শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঠাঁই হবে কোথায়? ব্রিটেন না আমেরিকা? নাকি ইউরোপের অন্য কোনও দেশ? উল্লেখ্য, হাসিনার বোন রেহানার বাড়ি রয়েছে লন্ডনে। মনে করা হচ্ছিল সেখানেই পাড়ি দেবেন তিনি। যদিও হাসিনাকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে গররাজি সেদেশের রাজনীতিকদের একাংশ। প্রকাশ্যেই সেকথা জানাচ্ছেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে হাসিনার বোনঝি অর্থাৎ রেহানার মেয়ে লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
খোদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রূপা হক আপত্তি করেছেন হাসিনার ব্রিটেনের আশ্রয়ের বিষয়ে। হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার দিন রূপা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, "যারা সমালোচনা গ্রহণ করতে পারে না, যারা নির্বাচন করতে দেয় না, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, এমন স্বৈরাচারী শাসকের বিদায় হয়েছে। ভারতে লুকিয়ে রয়েছে। এই আতঙ্কের একনায়কতন্ত্র শেষ হয়েছে, আমি খুবই খুশি।" রূপার মতোই বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও হাসিনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
এদিকে রূপার আচরণে অসন্তুষ্ট রেহানা কন্যা লেবার এমপি টিউলিপ। মাসিকে নিয়ে এ হেন মন্তব্য মনে নিতে পারছেন না তিনি। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে কমপক্ষে ৭০ হাজার বাংলাদেশির বাস। তাঁদের অধিকাংশই বর্তমান হাওয়ায় হাসিনা-বিরোধী। অনেকে আবার সরাসরি খালেদা জিয়ার সমর্থক। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর অনেকেই 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' উদযাপন করেছেন। এই অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার চায় না হাসিনাকে দেশে এনে স্থানীয় বাংলাদেশিদের ক্ষোভ বাড়াতে। অতএব, রেহানা নিজের মেয়ের কাছে ফিরতে পারলেও দিদি হাসিনাকে কিয়ের স্টার্মারের সরকার অনুমতি দেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে ।