সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকদিন আগেই চিনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মকে অনুমোদন করেছে হু (WHO)। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০টি দেশকে নিজেদের তৈরি এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে চিন। বেশ কয়েকটি দেশকে বিনামূল্যেও তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সিচেলসে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চিনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সৌদি আরব, বাহরিন, ফিলিপিনসের মতো দেশগুলি।
জানা গিয়েছে, পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিচেলসের বেশিরভাগ নাগরিকের চিনা ভ্যাকসিন (China Vaccine) নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মে-র গোড়া থেকে দেশটিতে ৩৭ শতাংশ নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এঁরা সবাই চিনের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সৌদি আরব, আরব আমিরশাহি সরকার চিনের ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকী, চিনের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য দেশের মানুষের সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেন ফিলিপিনসের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে।
[আরও পড়ুন: এবার সু কি’র বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির মামলা, হতে পারে ১৫ বছরের জেল]
চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফিলিপিনসের মানুষ সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিনের ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। আরব আমিরশাহি ও বাহরিনের বহু মানুষ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এই দুই দেশেও সম্প্রতি ফের করোনার ঢেউ দেখা গিয়েছে। এর পরই পরিস্থিতি সামলাতে ফের দেশের মানুষকে ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা প্রতিরোধে সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকায় ভ্যাকসিন দুটি প্রয়োগে অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব ও ভারত সরকার। অ্যাস্ট্রাজেনেকা (ভারতে পরিচিত কোভিশিল্ড নামে), মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়েছে সৌদি। এগুলি ব্যতীত অন্য কোনও ভ্যাকসিন নিলে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে সে দেশে। এর ফলে জুলাই মাসে হজ করতে সৌদি আরবে আসা পুণ্যার্থীদের অনেকেই বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা। কারণ বহু দেশের মানুষ ইতিমধ্যেই চিনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন।