জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মোদির সভার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বনগাঁর বিভিন্ন এলাকায়। সেখানে শান্তনুকে তোলাবাজ বলে কটাক্ষ করে তাঁকে একটি ভোটও না দেওয়ার আর্জি করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, শান্তনু ঠাকুরকে পুনরায় প্রার্থী করায় ভয় পেয়েছে শাসকদল। সেই কারণেই তাঁরা ভয়ে একাজ করেছে। যদিও শাসকদলের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।
ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। বিজেপির হয়ে প্রচারে আজও বাংলায় মোদি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সভা করবেন তিনি। এদিন সকালেই বনগাঁ স্টেশন-সহ একাধিক জায়গায় দেখা গেল শান্তনু ঠাকুর বিরোধী পোস্টার। তাতে লেখা, “তোলাবাজ শান্তনু ঠাকুরকে একটি ভোটও নয়। কল্যাণী AIIMS-এর তোলাবাজ শান্তনু ঠাকুর নিপাত যাক। শান্তনু ঠাকুর তুমি পাঁচ বছরে করেছ কী? চাকরি বিক্রি ও তোলাবাজি ছাড়া আর কী!” পোস্টারের নিচে লেখা রয়েছে বনগাঁ সংগঠনিক জেলা বিজেপি বাঁচাও কমিটি।
[আরও পড়ুন: ‘নরেন্দ্র মোদি ভালো মানুষ’, গেরুয়া শিবিরে পা রেখেই দরাজ সার্টিফিকেট অভিজিতের!]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল এলাকায়। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির অন্তকর্লহ বলেই মনে করছে একাংশ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, “শান্তনু ঠাকুর প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। জানে ওরা হারবে, তাই বিজেপি বাঁচাও কমিটি নাম করে এই সমস্ত পোস্টার দিয়েছে। সবটাই শান্তনু ঠাকুরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা বলেই দাবি তাঁর।” এ বিষয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন দত্ত বলেন, “ফ্লেক্স পরার ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”