সুব্রত বিশ্বাস: বৃহস্পতিবারও হাওড়া থেকে ছাড়া বেশকিছু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন বাতিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই এই ট্রেন বাতিল শুরু হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি অবধি এই দুর্ভোগ চলবে। তারপরেও পরিস্থিতি ঠিক হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রেল সূত্রে খবর, বর্ধমানে শতাধিক বছরের পুরনো ব্রিজ ভেঙে ফেলার জন্য ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। এদিন বর্ধমান-হাওড়া মেন ও কর্ড এবং কাটোয়া শাখার লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত মেন লাইনে ১৭টি, কর্ড লাইনে ১৪টি এবং মেল এক্সপ্রেস মিলিয়ে ৪১টি ট্রেন বাতিল থাকবে। যদিও রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন ৩ নম্বর লাইন দিয়ে চলাচল করবে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা ময়দানে নজিরবিহীন ম্যাচ, ১০৬৭ রান করল দল, প্রতিপক্ষ অলডাউন ৪ রানেই]
হাওড়ার ডিআরএম মনীশ জৈন সাংবাদিক সম্মলনে জানান, বর্ধমান স্টেশনের পাশের শতাধিক বছরের পুরনো রেল ওভারব্রিজটি ভাঙার কারণে বর্ধমান থেকে একাধিক শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। পুরনো সেতুতে টোটো, সাইকেল উঠছিল। ফলে বিপদের আশঙ্কায় ভাঙার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি নতুন কিছু দূরপাল্লার রেক ও কয়লাবহনকারী রেকের মাথা পুরনো ব্রিজ দিয়ে চলাচলের সময় বাধা পাচ্ছিল। তা দূর হবে। ব্রিজ ভেঙে ফেলার পরে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্র্যাকের পরিধিও বাড়বে। তবে পুরনো ব্রিজের ওখানে একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল। যাতে সাইকেল চড়লেও বাইক ও ছোট যান নিষিদ্ধ থাকবে। হাওড়ার ডিআরএম আরও জানান, বুধবার মধ্যরাতের পর পুরনো সমস্ত গার্ডার একে একে ক্রেন দিয়ে তুলে ফেলা হবে।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ড: কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়, ব্যবসায়ীর অফিসে ED হানায় উদ্ধার নোট ভরতি ব্যাগ]
বেশকিছু দিন ধরে এই ভাঙার কাজ চলছে। ট্রেনেও বাতিল হচ্ছে। তবে এদিন চূড়ান্ত কাজের জন্য ট্রেন বন্ধ থাকবে দীর্ঘক্ষণ। এদিকে ট্রেন বাতিলের ফলে দুর্ভোগে সইছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁরা জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের জন্য প্রায় দু’বছর ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ট্রেন চালু হওয়ার পরেও প্রায় একবছর ধরে থার্ড লাইন ও ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলেছে। যার ফলে দফায় দফায় ব্লক এবং ট্রেন বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। এজন্য মেন লাইনে এবং কর্ড লাইনে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এদিন ডিআরএম আরও জানান, বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম রেলপথটি খতিয়ে দেখে খসড়া তৈরির জন্য দক্ষিণ পূর্ব রেলকে বলা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিলে কাজ শুরু হবে।