শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: একদিকে সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ। অন্যদিকে চলল গান। সেই সঙ্গে ম ম করা রান্নার গন্ধ। এসবের মাঝেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল বট আর পাকুর গাছ। পাত পেড়ে খেলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) তিনটি গ্রামের ৫০০০ বাসিন্দারা।
মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল। পাড়া প্রতিবেশীতে জমজমাট। সকাল থেকে চলছে রান্না, গানবাজনা। আয়োজন পুরোপুরি আর পাঁচটা বিয়ে বাড়ির মতোই। তবে বর-কনে কিন্তু এক্কেবারে আলাদা। নিশ্চয় ভাবছেন ব্যাপারটা কী? এখানে বর-কনের বেশে বট আর পাকুড় গাছ। হ্যাঁ, অবাক হলেও এটাই সত্যি। বিয়ের কিছুদিন আগেই ছাপানো হয়েছিল বাহারি কার্ড। নিমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে গিয়েছিল বাড়ি-বাড়ি।
[আরও পড়ুন: ভোরের ট্রেনে এসেছিলেন ব্রত ভাঙতে, ফিরলেন নিথর হয়ে! শোকে কাতর পানিহাটিতে মৃতদের পরিবার]
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির দেবনগরের সেবাগ্রামে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশীরা। সকাল থেকেই শুরু হয় আচার অনুষ্ঠান। দিনভর চলে গান, বাজনা, আড্ডা, হুল্লোর। সন্ধে হতেই চলে আসেন নিমন্ত্রিতেরা। বিয়ের লগ্ন ছিল রাত আটটায়। নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় বিয়ে। কন্যাদান করেন পাত্রীর বাবা সন্তোষ শীল। বিয়ে উপলক্ষ্যে পাত পেড়ে খেলেন ৩ টি গ্রামের প্রায় পাঁচহাজার বাসিন্দা। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, পনিরের তরকারি আর চাটনি।
মেয়ের বিয়ের পর পাত্রীর বাবা সন্তোষ শীল বলেন, “মেয়ের বিয়ের সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল। তবে খুব ভাল লাগছে।” পাত্রীর বাবা-মা খোশমেজাজে, কারণ তাঁদের এই ‘খুকি’ স্বামীর ঘর করতে দূরে যাবে না। স্বামীর সাথে থাকবে বাপের বাড়ির পাশেই! কিন্তু জানেন কি কেন এই বিয়ে? প্রকৃতি সংরক্ষণেরই একটি পদ্ধতি এই বিয়ে।