বাবুল হক, মালদহ: যতদূর নজর যায়, শুধুই জল-কাদা। রাস্তা না জলাশয় বোঝা দায়! সেই পথ ধরেই নিত্য ব্যাংক, স্কুল, হাসপাতাল সর্বত্র যেতে হয় মালদহের (Malda) মালতিপুরের চিলাপাড়ার বাসিন্দাদের। রাস্তার জেরে ভাঙছে বিয়েও! এ যেন নরকযন্ত্রণা!
ভোট আসে ভোট যায়। প্রতিশ্রুতিও মেলে ভুরিভুরি। কিন্তু মালদহের মালতিপুরের চিলাপাড়া এলাকার ২ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বরাবরই কঙ্কালসার। অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নাকি একটু মাটিও পড়েনি ওই রাস্তায়। শীত, গ্রীষ্মে তাও মাটির রাস্তায় চলাফেরা করা যায়। বর্ষা মানেই প্রবল বিপদ। জলে-কাদায় নাজেহাল দশা। রাস্তা পরিনত হয় জলাশয়ে। আর তা পেরিয়েই গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে হয় নিত্য। শুধু রাস্তার জন্য আত্মীয় স্বজনরাও যায় না গ্রামে। ওই গ্রামে বিয়ে দিতে চায় না কেউ। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ’, মঙ্গলকোট মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে দাবি অনুব্রতর]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র উপায় বাঁশের তৈরি চাঙারি। ওইভাবে পায়ে হেঁটে যেতে হয় ২ কিলোমিটার পথ। স্থানীয় নেতা, প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিকবার রাস্তা নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও নাকি কোনও সুরাহা হয়নি। ভোটের ফল প্রকাশের পর আর কেউ মনে রাখেনি চিলাপাড়ার ওই রাস্তা। ফলে মেরামতিও হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার সকালে অভিনব প্রতিবাদে সামিল বাসিন্দারা। রাস্তায় জমা চলল মাছ ধরা। জল কাদার মধ্যে দিয়েই সাইকেল চালান এলাকার যুবকেরা।
এ বিষয়ে বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস জানিয়েছেন, প্রশাসনের নজরে রয়েছে বিষয়টি। কাজ শুরুর কথাই ছিল। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে অবিলম্বে সমস্যা মিটে যাবে। যদিও আশ্বাসে আর ভরসা নেই স্থানীয়রা। নরকযন্ত্রনা থেকে কবে নিস্তার মিলবে, আদৌ কোনওদিন মিলবে সেটাই বড় প্রশ্ন তাঁদের।