সোমনাথ রায়, অযোধ্যা: রামলালার কী অপার মহিমা! অযোধ্যার রামমন্দিরে তিনি বসার পরই পর্যটন মানচিত্রে হু হু বদল। দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বারাণসীকেও টেক্কা দিয়েছে রামলালা অযোধ্যা। এতদিন কাশী বিশ্বনাথের টানে বারাণসীর ঘাটে ঘাটে পুণ্যার্থী সমাগমের ঢল নামত। কিন্তু জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম ছ মাসেই লাখ লাখ দর্শক ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। আদায় হয়েছে বিপুল জিএসটি। সবমিলিয়ে, দেশের পর্যটন মানচিত্রকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরপ্রদেশের মোট পর্যটকের এক তৃতীয়াংশই হয়েছে অযোধ্যায়। প্রথম ছ মাসে ১১ লক্ষ পর্যটক গিয়েছেন রামলালা দর্শনে। এখানকার দেব দীপাবলির ছবি গোটা বিশ্বের কাছেই আকর্ষণীয়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবছর প্রথম দীপাবলি। তাই বিশেষভাবে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যাকে।
রামমন্দির ঘিরে অযোধ্যার অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে, তা জানাই ছিল। একদিকে ভক্ত সমাগম, অন্যদিকে অনুসারী হিসেবে হোটেল, পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার। তবে ১০ মাস পর সেই হিসেবের খতিয়ান দেখতে গিয়ে প্রত্যাশার বেশিই যেন প্রাপ্তি ঘটল। ইতিমধ্যে ৪০০ কোটির জিএসটি আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার ভিএইচপি নেতা চম্পত রাই। তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে আরও হোটেল, লজ, আবাসন। আর রামমন্দির-সহ সমস্ত নির্মাণেই পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহৃত হওয়ায় তাও এক বড় বার্তা।
সন্ধের আলোকময় রামমন্দির। ফাইল ছবি।
ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন করে দিশা দেখাচ্ছে অযোধ্যা। দ্রুতই বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম বড় পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে তা নজর কাড়বে বলে আশাবাদী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। অযোধ্যার দেব দীপাবলি বিখ্যাত। সরযূর তীর ভরে ওঠে প্রদীপের আলোয়। এবারও রেকর্ড ২৫ লক্ষ মাটির প্রদীপে সেজে উঠবে। এবারের আরও আকর্ষণ রামলালার সজ্জা। তার পোশাক তৈরি করছেন বিখ্যাত ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। তাতে ফ্যাশন ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন থাকবে বলে আগাম আভাস। সবমিলিয়ে, ২০২৪-এ অযোধ্যার দেব দীপাবলি বিশেষ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।