সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটির দিনে রাজবাজারের চালপট্টিতে বিধ্বংসী আগুন। দুপুর দু’টোর একটু পরে আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ঘিঞ্জি এই এলাকা। ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিতে থাকে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়া রুখতে চারপাশ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। প্রথমে তিনটি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে। পরে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
দুপুর ২ টোর পর রাজাবাজারের বাজারের চালপট্টি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ছুটে আসেন। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ প্রতিকূলতার মুখে পড়েন তাঁরা। ততক্ষণে আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা চালপট্টিতে। বাজার গ্রাস করে পাশের একটি বাড়িতেও ছড়িয়েছে আগুন। বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। আজ রবিবার হওয়ায় বাজার কিছুটা ফাঁকাই ছিল। ফলে প্রাণহানির কোনও খবর নেই এখনও পর্যন্ত। তবে চালপট্টিতে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তাও দেখা হয়।
[আরও পড়ুন: শরীরচর্চায় মন দিন, RSS-এর পথে হেঁটে নেতা-কর্মীদের বার্তা আলিমুদ্দিনের]
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তাঁরা আগুনের উৎসে পৌঁছন এবং আগুন বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।ততক্ষণে প্রবল ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। আতঙ্কের জেরে ঘর ছেড়ে দূরে চলে যান কেউ কেউ। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে লোকজনকে সরিয়ে দেন দমকল কর্মীরা। তবে কীভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে দমকল বিভাগ। গোটা বাজার পুড়ে যাওয়ায় প্রভূত ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
[আরও পড়ুন: পোলবা কাণ্ড থেকে শিক্ষা, পুলকারের দৌরাত্ম্য কমাতে নয়া গাইডলাইন]
দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা। প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে একটি আঠা তৈরির কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ভোজ্য তেলের কারখানায়। সবটাই দাহ্য বস্তু হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দমকলের ১১টি ইঞ্জিন কাজ করেছে।
দেখুন বিধ্বংসী আগুনের ভিডিও:
The post বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাজাবাজারের চালপট্টি, আগুনের গ্রাসে একটি বাড়িও appeared first on Sangbad Pratidin.