সুকুমার সরকার, ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থামছেই না বাংলাদেশে। ফের রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পুড়ে গিয়েছে বাজার, দোকানপাট ও বাড়িঘর। সোমবার গভীর রাত ২টো নাগাদ ঢাকার উত্তরার ১১নং সেক্টরের জমজম টাওয়ারের পাশের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে এই আগুন লেগেছে তা এখনও যানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানে কাঁচাবাজার ছাড়াও লেপ-তোশক এবং ফার্নিচারের দোকান ছিল। যেগুলো আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে পুড়ে যায়। আগুন লাগার খবরে সেখানে ছুটে যায় দোকানিরা। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালপত্র বের করার চেষ্টা করেন।
এদিকে, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের অগ্নিকাণ্ডে গবাদিপশু-সহ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সদর ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম খানের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে ওই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে দমকল বিভাগ। স্থানীয় লোকজন ও দমকল বিভাগের এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নগদ তিন লক্ষ টাকা-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এখনও জ্বলছে সংঘর্ষের আগুন, ফের বাংলাদেশে আশ্রয় ২৯ মায়ানমার সেনার]
এছাড়া সোমবার গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় একটি কারখানায় আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা। খবর পেয়ে দমকল বিভাগের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলেব পৌঁছয়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই এখানকার ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকার একটি জুতোর কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দমকল বিভাগের নয়টি ইউনিট।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দেড়েক আগেই ঢাকার বেইলি রোডে একটি রেস্তরাঁয় আগুন লেগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দিন ছয়েক আগেই চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ আগুন লাগে। পুড়ে যায় প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি।