সুকুমার সরকার, ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডের অভিশাপ যেন পিছু ছাড়তে না বাংলাদেশের! দিন তিনেক আগেই ঢাকার বেইলি রোডে একটি রেস্তরাঁয় আগুন লেগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বড় অগ্নিকাণ্ডের খবর মিলল। চট্টগ্রামের একটি চিনি কারখানায় আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর এস আলম সুগার মিলে। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় একবার আগুন নেভানো গেলেও আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ফের দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। দমকল বিভাগের সূত্রে খবর, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ১৪টি ইউনিট শুরু থেকে কাজ করছে। পরে তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট যোগ দিয়েছে। ১৮ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। তবে মঙ্গলবার আগুনের লেলিহান শিখা আর গোডাউনের বাইরে ছড়ায়নি। দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক যন্ত্র লুফ ৬০-র সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছেন ১২-১৫ জন সদস্য। প্রতি মিনিটে ১ হাজার লিটার জল ছোড়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বন্য হাতি মেরে মাংস খাওয়ার অভিযোগ, পুঁতে রাখা হল হাড়গোড়! চাঞ্চল্য বাংলাদেশে]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক জানিয়েছেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজে দমকল বাহিনীকে সহায়তা করার চেষ্টা চলছে। গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লক্ষ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। এগুলো রমজানের জন্য আমদানি করা হয়েছিল। এখানে রিফাইন করে চিনিগুলো মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, এই কারখানায় প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের কারণে চিনি গলে লাভায় পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।