সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিস্তীর্ণ জঙ্গলের শুকনো পাতায় দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। পুড়ে যাচ্ছে বড় বড় গাছ। তারপর সেই পোড়া গাছ জঙ্গল থেকে লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতিরা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বনদপ্তর।
জানা গিয়েছে, পোড়া গাছের গুড়ি বিক্রি হচ্ছে মোটা টাকায়। শাল, মেহগনি, সোনাঝুড়ির মতন মূল্যবান গাছ যে এলাকায় আছে সেখানেই আগুন লাগানোর প্রবনতা বেশি। ক্ষতি হচ্ছে বন্য প্রাণেরও। সূত্রের খবর, গত বছর বসন্তের শুরু থেকেই শুরু হয়েছে আগুন লাগানোর প্রবণতা। পুড়ে যাচ্ছে বহু গাছ। বনদপ্তরের নজরদারির মধ্যেই ধরানো হচ্ছে আগুন। এখনও মাঝে মধ্যেই জ্বলছে জঙ্গল। তবে কারা এই অগ্নিসংযোগ ঘটাচ্ছে তা নিয়ে ভেবে কুল পাচ্ছে না বনদপ্তরের আধিকারিকরা। এইভাবে লাগাতার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়ছে বন্য জীবজন্তুরাও।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত BJP, জেলার নেতাদের জন্য গাইডলাইন দিল দিল্লি]
পানাগড় বিজ্ঞান মঞ্চের রমেশ মণ্ডল বলেন, “জঙ্গলে আগুন লাগানোর পর বড় বড় কাজ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর সেই গাছ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে আমাদের তরফ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। তারপরও কোনও সুরাহা মিলছে না। এর ফলে পরবর্তী সময়ে ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে।” কাঁকসার বন দপ্তরের আধিকারিক বিপদতারণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের তরফ থেকে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। তারপরও কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বুঝতে পারছি না। শেষ চারমাসে প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে পরিবেশ ক্রমশ ক্ষতির মুখে পড়বে।”