সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদের (Eid) ছুটিতে বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরা এবং বিদেশে বেড়াতে যাওয়া, দুয়েরই প্রবণতা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে (Bangladesh) বিমান টিকিটের চড়া দামের জেরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে বসেছে। আর তাই খুশির ইদে বিষণ্ণ মানুষজন। কেউ কেউ বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেও টিকিটের দাম শুনে তা বাতিল করছেন। ভিনদেশ থেকে বাংলাদেশের বাড়িতে ফেরা মানুষজনের অবস্থাও একই। বিমান টিকিটের চড়া দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। যদিও এনিয়ে বাংলাদেশের অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাফাই, বাংলাদেশে বিমানের সংখ্যা কম, তাই টিকিটের এত চাহিদা।
ঘরে ফেরার টিকিট (Flight Ticket)কাটতে গিয়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। দেখা যাচ্ছে, ইদের সময় ঢাকা থেকে দুবাই (Dubai)যাওয়ার টিকিটের যে দাম, তার চেয়ে কলকাতা-দুবাই টিকিটের দাম ঢের কম। আবার বাংলা নববর্ষের সময়ও একই। কলকাতা থেকে দুবাইয়ের টিকিটের দাম ১৭০ থেকে ২০০ ডলার। কিন্তু ঢাকা থেকে তা প্রায় ৪৫০ ডলার। এর নেপথ্যে অসাধু চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন লুইজিনহো ফ্যালেইরো, দলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ল]
এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের একাংশের মত, টিকিট বিক্রেতাদের (এজেন্ট) একটি চক্র টিকিট আগেভাগে বুকিং করে রাখে। ফলে কৃত্রিম চাপ তৈরি হয় টিকিট কেনাবেচার উপর। এতেই দাম বেড়ে যায়। আর দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ থেকে উড়ান কম হওয়ায় প্রতিযোগিতাও কম। এতে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশের এমইটি-র তথ্য বলছে, বিগত তিন মাসে বিদেশে গেছেন প্রায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। প্রবাসীরা বলছেন, বছর চারেক আগেও বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় উড়ানের টিকিট পাওয়া যেত। এরপর থেকে দাম বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বরে টিকিটের দাম ৬০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। এখন একই গন্তব্যে টিকিটের দাম পড়ছে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতে মুসলিমরা সুরক্ষিত, পাকিস্তানে নয়’, আমেরিকায় বসে দাবি নির্মলা সীতারমণের]
বিমানের অস্বাভাবিক ভাড়া নিয়ে সে দেশের অসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ মাহবুব আলি জানান, ভারতে ফ্লাইটের সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকিটের দাম কম। বাংলাদেশে যাত্রীর চেয়ে ফ্লাইট কম। তাই চাহিদা বেশি থাকা টিকিটের দামও চড়া। তিনি বলেন, ”টিকিটের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এক নজরদারি করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশ থেকে উড়ান চলাচল আরও বাড়বে।