সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার সাইক্লোন আমফান যে কোনও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে আলাদা। এক চরিত্রও অন্যান্য সাইক্লোনের চেয়ে পৃথক। আমফানের প্রভাবে শুধু তুমুল ঝড়বৃষ্টিই হবে, তা নয়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে দিনভর। বজ্রপাত সাধারণ অন্যান্য সাইক্লোনের সময় বিশেষ দেখা যায় না। সেদিক থেকে আমফানের সঙ্গে একযোগে অনেক কিছুই। আর এই বৈশিষ্ট্যই আমফানের ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলছে।
আমফানের গতিবিধির দিকে নজর রেখে আবহাওয়াবিদরা একটি অভিনব ব্যাপার খেয়াল করেছেন। আমফানের যে কেন্দ্র, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে Eye Zone, তার আশেপাশে প্রচুর উচ্চ তড়িৎযুক্ত মেঘের অর্থাৎ বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হচ্ছে। আর এতে আমফান আছড়ে পড়ার আগে, পরে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাতও হবে। যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা তীব্র। সাবধানে না থাকলে আরও বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে নিমেষেই। তাই বিদ্যুৎ বিপর্যয় এড়াতে কলকাতার বিদ্যুৎ ভবনে আজ সারাদিন থাকবেন অফিসার, কর্মীরা। বিশেষত বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে সজাগ থাকবেন তাঁরা সকলে।
[আরও পডুন: করোনার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের ভ্রুকুটি, চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হ্যাম রেডিও]
বিপদের তালিকা আরও দীর্ঘ। দিঘা থেকে বকখালি পর্যন্ত আমফান ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওবিদদের। আবহাওয়াবিদ অর্ক চৌধুরির কথায়, ”আমফানের প্রভাবে তীব্র ঝড়, প্রবল বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে ভয়ানক বজ্রপাতের সম্ভাবনা। এর পরিণতি হিসেবে অকাল বন্যার আশঙ্কাও থাকছে।” কাঁচা বাড়ি, টালি বা টিনের চাল ঝড়ের দাপটে উড়ে যাবে। এমন পূর্বাভাস তো আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের হিসেবনিকেশ বলছে, ঝড়বৃষ্টির দোসর বজ্রপাত আর অকাল বন্যা। বিশেষত সমুদ্রতট লাগোয়া বা মোহনা অঞ্চলের নিচু এলাকা ভেসে যেতে পারে। সুপার সাইক্লোন আমফান সাম্প্রতিককালের যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে অনেকটা বেশি ভয়াবহ হয়ে ঝাঁপাতে পারে বলে একপ্রকার নিশ্চিত আবহবিদরা। আর তার দাপট থেকে প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
[আরও পডুন: ২১ মে নয়, দু’দিন আগেই বোলপুরে খুলে গেল সমস্ত দোকান]
The post ঝড়বৃষ্টির দোসর ব্যাপক বজ্রপাত, এই পৃথক চরিত্রেই আরও ভয়াবহ আমফান appeared first on Sangbad Pratidin.