সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার বাংলাদেশে পুড়ল কোরান। প্রতিবাদে পথে জনপ্লাবন। ইসলামের পবিত্রতম গ্রন্থটির অবমাননার অভিযোগে ধৃত দুই। অভিযুক্তদের উত্তমমধ্যম প্রদান উন্মত্ত জনতার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আহত অন্তত ১৪ জন পুলিশকর্মী।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোরান পোড়ানোর অভিযোগে সিলেট জেলা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম–নুরুর রহমান ও মেহবুব আলম। পুলিশ আধিকারিক আজবাহার আলি শেখ জানান, কোরান পোড়ানোর ঘটনায় রবিবার রাতে পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অন্তত ১০ হাজার মানুষ। অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন পুলিশকর্মী।
জানা গিয়েছে, দুই ধৃতের কাছ থেকে ৪৫টি কোরান উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন নুরুর রহমান একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল। তাঁর দাবি, কোরানগুলি পুরনো এবং সেগুলিতে ছাপার ভুল রয়েছে। তাই বইগুলিকে নষ্ট করা হচ্ছিল। ধর্মগ্রন্থগুলিকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁদের।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে সাবধানী ফেসবুক, গুজব ঠেকাতে বিশেষ প্রস্তুতি মেটার]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরান পোড়ানোর ঘটনাক কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। গত জুনে ইদের দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরান পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান বছর সাঁইত্রিশের ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবথেকে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্টাগুলিকে মাড়িয়েও দেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সুইডেন প্রশাসনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিভিন্ন মুসলিম দেশ।