সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে বন্ধ বিশ্বের ব্যস্ততম জলপথগুলির মধ্যে অন্যতম সুয়েজ খাল (Suez Canal)। ফলে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। কারণ বিশ্বের মোট বাণিজ্যের ১২ শতাংশ হয় এই পথেই।
[আরও পড়ুন: হামলা চালাতে সাহস পাবে না প্রতিপক্ষ, এবার চেন্নাই উপকূলে প্রহরীর ভূমিকায় ‘বজ্র’]
কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খাল লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ। ফলে সুয়েজ খাল যথেষ্ট ব্যস্ত পথ। এটি বন্ধ থাকলে যে এশিয়া-ইউরোপের জলপথে পণ্য পরিবহনে বড় প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য। ক্ষতির পরিমাণ যে কতটা তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে পরিসংখ্যানে। খালটিতে জাহাজ চলাচল ব্যহত হওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় বিশ্ববাণিজ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সুয়েজ খাল দিয়ে উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছিল বিশাল পণ্যবাহী জাহাজটি। এদিকে সুয়েজ খালের কোনও অংশ প্রশস্ত আবার কোনও অংশ সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কখনও কখনও তা প্রায় ৬০০ ফুটের কাছাকাছি। সেই পথ দিয়ে জাহাজ এগিয়ে চলা রীতিমতো কঠিন ব্যাপার। পণ্যবাহী জাহাজটি বইতে থাকা তীব্র হাওয়ায় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে যেতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত জাহাজের গতিপথ বিঘ্নিত হয়। আড়াআড়িভাবে সুয়েজ খাল আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে জাহাজটি। এদিকে ব্যস্ত খাল এভাবে অবরুদ্ধ হওয়ায় জলপথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরপর দাঁড়িয়ে গিয়েছে আরও বহু জাহাজ। ‘এভার গিভেন’ নামের জাহাজটিকে সরানোর চেষ্টায় নেমেছে মিশরের প্রশাসন।
সূত্রের খবর, সুয়েজ খালে আটকে থাকা প্রায় ৪০০ মিটার লম্বা জাহাজটি পানামার। চিন থেকে মালবাহী কন্টেনার নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বন্দর রোটারড্যাম যাচ্ছিল জাহাজটি। আটকে পড়া জাহাজটিকে সরাতে বেশ কয়েকটি টাগ বোট নামানো হয়েছে। সঙ্গে খালের দুই তীরে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।