তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বছর ঘুরতেই মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের মামলার নিষ্পত্তি। শনিবার দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনালেন শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের বিচারক। শুক্রবার সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত শনিবার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত মহম্মদ আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। আর জি কর আবহে এই শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট মাটিগাড়ার খাপরাইল এলাকায় ঘটে নারকীয় ঘটনা। ফাঁকা জমির ভিতর একটি পরিত্যক্ত ঘরে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল মহম্মদ আব্বাস নামে এক ব্যক্তি। ধর্ষণের সময় নির্মম শারীরিক অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। এর পর পরিচয় গোপন করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় নির্যাতিতার মুখ। ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় সর্বত্র। যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে গত বুধবার মহম্মদ আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার চেয়ে অশৌচের ডাক, পুজোর বিজ্ঞাপন করে ‘মুখ পুড়ল’ সোহিনীর! চটল নেটপাড়া]
এনিয়ে সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এদিন আমি দেশের একাধিক ঘটনার ক্ষেত্রে যেসব মামলায় ফাঁসির সাজা হয়েছহিল, সেসব বিরল ঘটনার উদাহরণ দিয়ে অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার দাবি করেছিলাম। সেই তথ্যের বিপক্ষে আসামী পক্ষের তরফে তাদের যুক্তি খাঁড়া করা হয়েছে। সব কিছু শুনে বিচারক জানান, তিনি শনিবার সাজা ঘোষণা করবেন।” এর পর শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের এসিজেএম (পকসো) অনিতা মেহেত্রা মাথুর মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা করলেন।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের হাতছানি দিয়ে সায়ানাইড খাইয়ে পর পর খুন! গ্রেপ্তার ৩ মহিলা সিরিয়াল কিলার]
সদ্যই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণবিরোধী বিল। নয়া 'অপরাজিতা' বিলে ধর্ষণ-হত্যায় সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত করতে প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর। রাজভবন থেকে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আইনে পরিণত হলে ধর্ষণ-খুনের সর্বোচ্চ সাজা হবে ফাঁসি। তবে তার আগে মাটিগাড়ার ঘটনায় নিম্ন আদালত সেই সাজা ঘোষণা করল।