সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্দায় মুন্নাভাইকে পাশ করাতে ডাক্তারি পরীক্ষা দিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. রুস্তম পারভি। সিনেমার সেই ছবি এবার ধরা পড়ল বাস্তবের মাটিতে। এক্ষেত্রে অবশ্য 'মুন্না'ভাইকে পাশ করাতে NEET পরীক্ষা দিতে গেলেন খোদ দাদা। যদিও তার পরিণতি সুখকর হল না। ধরা পড়ে দুই জনেরই ঠিকানা এখন জেল। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমের এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইকে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় (NEET) পাশ করাতে মাঠে নেমেছিলেন দাদা। নিজে এমবিবিএসের (MBBS) প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হওয়ায় ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে যান দাদা ভাগীরথ রাম বৈষ্ণই। তবে পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে বায়োমেট্রিকে ধরা পড়ে যায় যুবকের কীর্তি। পরীক্ষকরা দেখেন, ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের আধার কার্ডের ছবিও এডিট করেছেন অভিযুক্ত। যুবককে আটক করার পাশাপাশ পুলিশকে ফোন করে গোটা ঘটনার কথা জানান পরীক্ষক। পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত ভাগীরথকে। এর পরই জানা যায়, অভিযুক্ত ওই যুবক যোধপুরের এসএন মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় দাদার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী গোপাল রামকেও।
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ! যোগীরাজ্যে চাঞ্চল্য]
জেলা পুলিশ সুপার নরেন্দ্র সিং মিনা বলেন, 'রবিবার নিট পরীক্ষার আসন পড়েছিল রাজস্থানের বারমেরের অন্ত্রিদেবী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। পরীক্ষা শুরুর সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অনিতা চৌধুরী আমাদের ফোন করে জানান, অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসা এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মেডিক্যাল পড়ুয়া এক যুবককে। জানা গিয়েছে, ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। ওঁর ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।'