সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহের আগুনে দাউদাউ জ্বলছে মায়ানমারের (Myanmar) রাখাইন প্রদেশ। এই অবস্থায় ভারতীয় নাগরিকদের রাখাইনে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে বিদেশমন্ত্রক। যাঁরা ওখানে রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত এলাকা ছাড়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা (Junta)। গত প্রায় বছর তিনেক ধরে তারাই চালাচ্ছে দেশের প্রশাসন। সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়ছে সেদেশে। মায়ানমারের তিন বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ, আরাকান আর্মি ও এমএনডিএএ। একসঙ্গে তাদের জোটকে ডাকা হচ্ছে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে। তাদের যৌথ অভিযানে সম্প্রতি বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে জুন্টা।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন রামলালা! কর্নাটকের নদী থেকে মিলল প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি, শিবলিঙ্গ]
গত ২৭ অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী শুরু করেছে ‘অপারেশন ১০২৭’। যার জেরে মায়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে। কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে মণিপুর, মিজোরামের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি পেশ করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভেঙে পড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ধ্বংসের মুখে টেলি যোগাযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে অনুরোধ করা হচ্ছে রাখাইনে না যেতে। যে ভারতীয়রা এখন রাখাইনে আছেন, তাঁদের দ্রুত সেই প্রদেশ ছাড়তে বলা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রাখাইনের রামরি বিমান বন্দর থেকে বিদ্রোহী বাহিনীর উপরে হামলা করার পরিকল্পনা করছেন জুন্টা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। বিপণ্ণ অবস্থা সাধারণ নাগরিকদের।