সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত নয়। এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই বাঞ্চনীয়।
সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে প্রতিবেশী বাংলাদেশ যখন জ্বলছিল সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, "এ নিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, যা বলার ভারত সরকারই বলবে। কিন্তু অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।” বস্তুত সমস্যায় থাকা বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে আপত্তি আসে বাংলাদেশের তরফে। ওপার বাংলার বিদেশমন্ত্রক বলে দেয়, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ভুল বার্তা দেবে।
[আরও পড়ুন: ‘শান্তি রক্ষার স্বার্থেই নাম লেখার নির্দেশ’, কানোয়ার যাত্রার নেমপ্লেট বিতর্কে সাফাই যোগীর]
সূত্রের খবর, এ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকেও নালিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তার পরই বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফে সতর্ক করে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া আপত্তিবার্তার কথা স্বীকার করে বলেন, "আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি।"
[আরও পড়ুন: বাংলার প্রতি বঞ্চনাই হাতিয়ার, মমতার লিখিত বক্তব্য গেল নীতি আয়োগে]
সংবিধানের নিয়ম মনে করিয়ে রণধীর জানান, "ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এবং অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিষয়ের এক্তিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের। এই বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।" যদিও ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, একুশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্যটি করেছিলেন মানবিক দিক থেকেই।