নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সরকার বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্ব অব্যাহত। সাসপেন্ড করার পর এবার শাসক দলের চার সাংসদের বিরুদ্ধে আরও বড়সড় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্যসভার সচিবালয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাসপেন্ড হওয়ার পরও জোর করে তাঁরা রাজ্যসভায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন এবং বাধা দিতে গেলে রাজ্যসভার গেটে ভাঙচুর করেছেন। সংসদের এক নিরাপত্তারক্ষী তাতে আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ সরকারপক্ষের। যদিও তৃণমূলের পালটা দাবি, সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই সংসদে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। আর তাতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
আসলে, গতকাল রাজ্যসভায় লাগাতার বিক্ষোভ এবং প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে আসার জেরে তৃণমূলের ৬ সাংসদকে গোটা দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু (Venkaiah Naidu)। চেয়ারম্যানের নির্দেশ মতো দোলা সেন, নাদিমুল হক, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম নূর গোটা দিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেননি। তবে, রাজ্যসভা (Rajya Sabha) গোটা দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনও তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে না দিলে তৃণমূলের চার সাংসদ নিজেরাই রাজ্যসভার গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তখনই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বিবাদ বাঁধে তাঁদের। সরকারপক্ষের অভিযোগ, তৃণমূলের সাংসদরা সংসদে ভাঙচুর করেছেন। তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে এক নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সরকারের ঔদ্ধত্যের জন্য অচল Parliament, একযোগে বিবৃতি TMC-সহ ১৪ বিরোধী দলের]
বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, জোর করে রাজ্যসভায় ঢুকতে চাওয়া তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে বড়সড় ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে গতকাল রাতেই সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Prahlad Joshi), সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ও ভি মুরলীধরন, রাজ্যসভার দলনেতা পীযুষ গোয়েল, এবং রাজ্যসভার উপনেতা মুখতার আব্বাস নকভি একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নায়ডুকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। দ্রুতই তৃণমূল সাংসদদের শাস্তির ঘোষণা করা হতে পারে। যদিও, অন্যতম অভিযুক্ত সাংসদ দোলা সেনের দাবি, অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের সাসপেনশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁদের সংসদে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল। গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হচ্ছে।