সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এবার একেবারে অন্য ভূমিকায় ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ। তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন তিনি। ঘোষণা হতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন তিনি। শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, মহিন্দর অমরনাথ, কৃষ্ণ মাচারী শ্রীকান্ত, মদনলাল, সন্দীপ পাটিল-সহ ‘সোনালি’ সেই দিনের দলের বহু ক্রিকেটার। ‘ফরএভার চ্যাম্পিয়ন’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এসেছে অভিনন্দন ।
১৯৮৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেট দলের সদস্য কীর্তি আজাদ এবার তৃণমূল প্রার্থী। তাই সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ‘এডমিন’কে লড়াইয়ের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দল, ‘জগা হঠাও’, জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার]
চেনা পিচ। কিন্তু রং ভিন্ন। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের হয়ে ব্যাটিং করবেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। গুঞ্জন ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সপ্তাহ খানেক আগে দুর্গাপুর চষে বেরিয়েছিলেন তিনি। ব্রিগেডের জনগর্জন সভার প্রচার করতে এসে একের পর এক জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগবত ঝা আজাদের পুত্র কীর্তিবর্ধন ভগবত ঝা আজাদ। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু।
রবিবার ব্রিগেডের র্যাম্প থেকে ঘোষণা করা হয় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের নাম। তাঁর নাম ঘোষণা হতেই উৎসবের মেজাজে তৃণমূল কর্মীরা। রাজনীতির এই পিচ আজাদের অজানা নয়। প্রাক্তন এই জাতীয় ক্রিকেটার ১৯৯৩ সালে দিল্লি বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে বিহারের দারভাঙ্গা থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তৃণমূলের গোয়ার ইনচার্জেরও দায়িত্ব সামলেছেন কীর্তি। এবার তৃণমূলের হয়ে চেনা পিচে ব্যাট ধরলেন।
[আরও পড়ুন: মোদির আশীর্বাদধন্য ‘জাস্টিস গাঙ্গুলি’ বনাম মমতার ‘তরুণ তুর্কি’ দেবাংশু, তমলুকে মেগা ফাইট]
১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি বিহারের পূর্ণিয়ায় জন্ম। দিল্লীর হয়ে রনজি খেলতে খেলতে হঠাৎ ডাক আসে জাতীয় দলে। দ্রুত গতির অফ স্পিন বল ছিল তাঁর অস্ত্র। প্রার্থী হয়ে দায়িত্ব বাড়ল বলে কীর্তি আজাদ জানান, তৃণমূলের প্রার্থী হতে পেরে ভালো লাগছে। দায়িত্ব আরও বাড়ল। দিদি দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব গুরুত্ব দিয়ে পালন করব। মানুষের সমস্যা জানব। এলাকার সমস্যা শুনব। তারপর তা লোকসভায় তুলে সমাধান করব।”