অভিরূপ দাস: সীমান্তের ওপারে মহামারির আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের। পড়শি দেশ থেকে এখানে বাসিন্দাদের আনাগোনা অহরহ। তাদের মাধ্যমে এ রাজ্যেও ছড়াতে পারে ভাইরাস! তাই তড়িঘড়ি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে চিঠি দিল কলকাতা পুরসভা। প্রতিটি অভিবাসন কেন্দ্রের পাশে খুলতে হবে ডেঙ্গু রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র।
মঙ্গলবার ডেঙ্গু নিয়ে কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, ঢাকা শহর ডেঙ্গুতে জর্জরিত। অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন আকাশপথে, সড়কপথে, রেলে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন। ডেঙ্গুর ভাইরাসের সবচেয়ে বড় বাহক মানুষ। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আশঙ্কা, হতেই পারে পড়শি দেশ থেকে কোনও মানুষ ডেঙ্গুর ভাইরাস (Dengue Virus) নিয়ে আসছেন। কিন্তু উপসর্গ না থাকায় বুঝতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন: ক্রীড়া ক্ষেত্রে কৃতীদের সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরি, অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের]
এদিকে এমন একটি মানুষকে এডিস ইজিপ্টাই কামড়ালেই বিপদ। সে মশা অন্যের শরীরে হুল ফুটিয়ে ছড়াতে পারে মারণ ডেঙ্গু। অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে আমাদের আরজি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রতিটি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষা করার বন্দোবস্ত করা হোক। তাহলেই ধরা পড়বে ডেঙ্গু নিয়ে কেউ বাংলাদেশ থেকে ঢুকছেন কিনা।’’
এদিকে ডেঙ্গুতে জর্জরিত বাংলাদেশ সাহায্য চাইছে কলকাতা পুরসভার। ইতিমধ্যেই নর্থ ঢাকা কর্পোরেশনের মেয়র যোগাযোগ করেছেন কলকাতা পুরসভার সঙ্গে। পড়শি দেশ জানতে চায়, কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এডিস ইজিপ্টাই। ইতিমধ্যে হু জানিয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ এ’বছর আক্রান্ত হবে ডেঙ্গুতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে পুরসভা।