দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাবা ট্রেনে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে গল্পে মত্ত। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য নজরের আড়াল হয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। আর এই সামান্য সময়ে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের শিশু বিশেষজ্ঞ। ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল মেয়ের! ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই ডায়মন্ড হারবার থেকে কলকাতায় রোগী দেখতে যান শিশু বিশেষজ্ঞ অলক পাল। তাঁর মেতে বছর পঁয়ত্রিশের সঙ্গীতা কয়েকদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাই মেয়েকে কাছছাড়া করতেন না অলকবাবু। রোগী দেখতে যাওয়ার সময় সঙ্গীতাকে সঙ্গে নিয়েই যেতেন। প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। সকাল ৯টা নাগাদ সোনারপুর ছাড়তেই অলকবাবু অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন ট্রেনের মধ্যেই। সেই সময় মেয়ে সঙ্গীতা চলে আসেন ট্রেনের দরজার কাছে। ঝাঁপ দেন সুভাষগ্রাম স্টেশনের কাছাকাছি রেললাইনের উপরে।
সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের যাত্রীদের চিৎকারে সম্বিত ফেরে অলকবাবুর। এর পর তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা সুভাষ গ্রাম স্টেশনে নেমে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর জিআরপিকে। তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর, অলকবাবুর বাড়ি আনন্দপুর থানার মাদুরদহ এলাকাতে। কলকাতা থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন ডায়মন্ড হারবারে। সেখানেই তাঁর চেম্বার। রোগী দেখার সময় সঙ্গে নিয়ে যেতেন মেয়েকে। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। আর সেই কারণেই তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।