নিরুফা খাতুন: রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সকালেও আকাশের মুখভার। কারণ, নির্ধারিত সময়ের আটদিন পর কলকাতায় এল বর্ষায়। সপ্তাহান্তে মরশুমের প্রথম রেনি ডে’র সাক্ষী শহরবাসী। আগামী রবিবার দুর্যোগ আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের পাঁচদিন পর গত ১২ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। ১৮ জুন পর্যন্ত মালদহের উপরে তার অবস্থান ছিল। ১৯ জুন বর্ষা ঢুকে পড়ে দক্ষিণবঙ্গে। ২২ জুন আরও একটু এগিয়ে প্রায় সব জেলাতেই পৌঁছে যায় মৌসুমী বায়ু। সাধারণত ১১ জুন কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের কথা। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের আটদিন পর শহরে বর্ষারানি পা রাখল। আপাতত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলার আনাচে-কানাচে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি মামলা: ‘প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শেষ’, হাই কোর্টে জানাল CBI]
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী দু-তিনদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মূলত রবি এবং সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তাপমাত্রা কমবে আগামী তিনদিনে। বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
তবে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। গত এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টির প্রভাবে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি। বজ্রপাতের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ আবহাওয়া দপ্তরের। প্রয়োজনে দামিনী অ্যাপ ডাউনলোড করে বজ্রপাতের সম্ভাবনা দেখে চলার কথাই বলছেন আবহবিদরা।