নব্যেন্দু হাজরা: বর্ষার (Monsoon) প্রথম ইনিংস বেশ জমজমাট। বৃষ্টি থেকে যেন রেহাই নেই আমজনতার। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। তবে শুক্রবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।
বুধবার দুপুরে আচমকাই কলকাতায় নেমে আসে সন্ধে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিতে (Rain) ভাসে কলকাতা। রাজ্যের একাধিক জেলার ছবিও ছিল একইরকম। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০১.৩ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গে আজও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে। মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে শুক্রবার থেকে বঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা। কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।
[আরও পড়ুন: আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণ জানাল SSC]
উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার উপর দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। বৃষ্টিতে ভিজছে চতুর্দিক। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে সক্রিয় হবে মৌসুমী বায়ু। ১৯ জুনের পর থেকে মৌসুমী বায়ু অমৃতসর আম্বালার উপরে থমকে গিয়েছিল। দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের বাকি অংশে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে। বৃষ্টি বাড়বে উত্তর-পশ্চিম ভারতে।