নব্যেন্দু হাজরা: গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় কলকাতাবাসী (Kolkata)। জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। কোনও কোনও জায়গায় সেই জল এখনও নামেনি। আর তার মধ্যেই খারাপ খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather Office)। মাসের প্রথম রবিবার বিকেলের দিকে ফের বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। স্বাভাবিকভাবেই ছুটির দিনেও পুজোর কেনাকাটায় ব্যাঘাত ঘটতে চলেছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলায়। তবে তাপমাত্রা কমবে না। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। রবিবারের পাশাপাশি সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এদিন কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে। সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ৩ কেন্দ্রের ভোটের ফল LIVE UPDATE: ভবানীপুরে প্রায় ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আবার উত্তরবঙ্গে ভারী ও অতিভারী বর্ষণের (Heavy Rain) সম্ভাবনা। রাস্তায় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। বাড়বে নদীর জল। নিচু এলাকা প্লাবনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অতিভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পংয়ে। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দুই দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতেও। সোমবারও আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে ৬ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার উত্তর-পশ্চিম ভারতের কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে।
এদিকে উত্তর আরব সাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় শাহিন। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে ওমানের দিকে। তবে ভারতীয় উপকূল থেকে এটি দূরে থাকায় এর সরাসরি প্রভাব পড়বে না ভারতে।