নিরুফা খাতুন: গত কয়েকদিন ধরে প্রায় রোজই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা-সহ দক্ষিণের একাধিক জেলা। ফলে তীব্র গরম থেকে মিলেছিল সাময়িক মুক্তি। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। অন্তত এমনটাই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আর সেই সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। উলটোদিকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়, দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বজ্রপাতের আশঙ্কাও থাকবে। সোম অথবা মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের চার-পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের মেয়াদ শেষ, এবার উপায়? সাহায্যের হাত বাড়াল আয়কর বিভাগ]
কলকাতার আকাশ দিনভর আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। বিকেল অথবা সন্ধেয় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে একইসঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে অস্বস্তি। আজ সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রি।
তবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও আগামী কয়েকদিন অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের বেশ কিছু এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। জলস্তর বাড়বে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সংকোষের মতো উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে। আবহবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে পার্বত্য এলাকায়। উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। নিচু এলাকার শস্য ও সবজি চাষের ক্ষতি হতে পারে।