সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে হুঁশ ফিরল। দুর্ঘটনার তিনদিন পর, মঙ্গলবার মৃত সজল কাঞ্জিলালের বাড়িতে গেলেন সিপিআরও ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মেট্রোর পদস্থ কর্তারা। কথা বললেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। মৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, কীভাবে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, তার সদুত্তর পাননি তাঁরা। ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইতিবাচক কোনও আশ্বাস দেননি মেট্রোকর্তারা।
[আরও পড়ুন: মেমারির যুবকের অঙ্গে নতুন জীবন ৫ জনের, কাজে লাগছে ত্বকও]
গত শনিবার পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে মেট্রোয় উঠতে গিয়ে দরজায় হাত আটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কসবার সজল কুমার কাঞ্জিলাল। শেষপর্যন্ত পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। সেদিন রাতেই মৃতের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খান ও সাংসদ মালা রায়। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে রাজ্য সরকারের তরফে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিটল ম্যাগাজিন বিক্রি করতেন। নন্দন ও রবীন্দ্র সদন চত্বরে পরিচিত মুখ ছিলেন সজলবাবু। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান শহরের নাট্যকর্মীদের একাংশ। দুর্ঘটনার পরের দিন সজল কুমার কাঞ্জিলালের মৃতদেহ আনা হয় রবীন্দ্র সদন চত্বরে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নাটক ও সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা। অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন যে, মেট্রোর তরফে কেউ যদি রবীন্দ্র সদনে আসতেন, তাহলে যাত্রীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা যেত। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে কসবার বোসপুকুরে মৃত সজল কুমার কাঞ্জিলালের বাড়িতে যান মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মেট্রোর পদস্থ কর্তারা। তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। কিছু আটকে গেলে মেট্রোর কামরার দরজা খুলে যাওয়ার কথা। তাহলে সজলবাবুর হাত আটকে যাওয়ার পর দরজা কেন খুলল না? মেট্রোকর্তাদের কাছে তা জানতে চান মৃতের পরিজনেরা। ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয়। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর না পেয়ে ক্ষোভ আরও বেড়েছে মৃতের পরিবারের। তাঁদের দাবি, শ্মশানে প্রায় কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু মেট্রো কর্তারা আসেননি। এদিন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিগত এক দশকের উষ্ণতম জুলাই কাটাচ্ছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ]
The post অবশেষে বোধোদয়! দুর্ঘটনায় নিহত সজল কাঞ্জিলালের বাড়িতে গেলেন মেট্রোকর্তারা appeared first on Sangbad Pratidin.