সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বিলোপের আগে থেকেই গুজবের ফুলঝুরি দেখা গিয়েছে কাশ্মীরে। সরকারি সিদ্ধান্তের পরও গুজব ছড়ানোর সেই প্রবণতা বন্ধ হয়নি। এই গুজব ছড়ানোর প্রবণতা উপত্যকার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। শুক্রবারই আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স দাবি করে কাশ্মীরে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যে বিক্ষোভে নাকি অন্তত ১০ হাজার কাশ্মীরবাসী সামিল হয়েছেন। শনিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিল রয়টার্সের এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
[আরও পড়ুন: ‘এবার কাশ্মীর থেকেও মেয়ে আনা যাবে’, বিতর্কিত মন্তব্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “কিছু সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরে নাকি ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অতিরঞ্জিত। শ্রীনগর এবং বারামুলায় কিছু বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু, কোনওটিতেই ২০ জনের বেশি লোক জমায়েত হননি।” গোটা উপত্যকায় বেশ কিছুদিন ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য সে অর্থে স্থানীয় খবর প্রকাশ পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রয়টার্স কীভাবে ১০ হাজার মানুষের বিক্ষোভের এই দাবি করল তা ভেবে পাচ্ছেন না কাশ্মীরের স্থানীয় সাংবাদিককূলও।
[আরও পড়ুন: নয়া সভাপতি বাছতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক, দৌড়ে এগিয়ে মারাঠা নেতা]
এদিকে ক্রমশ স্বাভাবিকের দিকে ফিরছে কাশ্মীর। সরকার চাইছে, ইদের আগেই যতটা সম্ভব জনজীবন স্বাভাবিক করা। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্রবার থেকে। শুক্রবার শ্রীনগর থেকে শুরু করে জম্মুর বেশ কিছু অঞ্চলে কারফিউ শিথিল করা হয়। কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারাও। যার ফলে বিকেলের দিকে দোকানপাটও খুলেছে বেশ কিছু এলাকায়। মানুষও বাড়ির বাইরে এসে ইদের বাজারে বের হন। শুক্রবার মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু করা হয়েছিল আংশিকভাবে। যদিও, সন্ধের পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। শনিবারও সকাল থেকেই শিথিল রয়েছে কারফিউ। চালু করা হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
The post কাশ্মীরে বড় কোনও বিক্ষোভ হয়নি, গুজব ওড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক appeared first on Sangbad Pratidin.