সুমন করাতি, হুগলি: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার যুবকের রহস্যমৃত্যু। পেটের টানে জম্মুতে কাজে গিয়েছিলেন হুগলির যুবক। তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে যুবকের পরিবারে সদস্যরা। মৃত্যুর আগের রাতেও ছেলের সঙ্গে মায়ের কথা হয়েছিল। বলেছিলেন, “আমি কোথায় আছি তোমাদের বলতে পারব না।” তার পরের দিনই ছেলের মৃত্যুর খবর আসায় সন্দিগ্ধ পরিবার।
কিছুদিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে জম্মুর রমবান জেলার বানিহাল এলাকায় গিয়েছিলেন কোন্নগরের বাসিন্দা সুরজিৎ দাস (২৩)। তাঁর তিন সঙ্গীর বাড়ি কোন্নগরের চটকল এলাকায়। বন্ধুদের মোবাইল থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা হত তাঁর। রবিবার রাতেও কথা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ সোমবার জম্মু থেকে সুরজিতের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছয় তাঁর পরিবারের কাছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বন্ধুদের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিস ঘেঁষেই, আদালতে খারিজ রাজ্যের আরজি]
মৃতের পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, প্রথমে ছেলের বন্ধুরা জানিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। পরে আবার এক বন্ধু জানায়, সিঁড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুরজিতের। বর্তমানে মৃতদেহ তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে চাইছে ঠিকাদার। আর এতেই পরিবারের সন্দেহ বেড়েছে। মৃতের মা সুলতা দাসের কথায়, “ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে।” সুরজিতের পরিবার জম্মুতে গিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাবেন। তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলেই মনে করছে তারা।