সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: NEET অর্থাৎ সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। তবুও এখনও পরীক্ষা বাতিল করেনি কেন্দ্র। কেন মোদি সরকার সেপথে হাঁটেনি জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
কী বলেছেন ধর্মেন্দ্র? তাঁর ব্যাখ্যা, ২০০৪ ও ২০১৫ সালে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। কিন্তু সেবার কেলেঙ্কারির মাত্রা ছিল ব্যাপক। এবারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও তা অল্পসংখ্যক পড়ুয়াদের কাছেই পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া যাঁরা স্বচ্ছতার সঙ্গেই পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে অন্যায় হবে। সেই সঙ্গেই ধর্মেন্দ্র বলছেন, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু মামলা চলছে তাই শীর্ষ আদালত এবিষয়ে যে রায় দেবে সেটাই চূড়ান্ত হবে।
[আরও পড়ুন: তিন মাসেই শান্তি ফিরবে মণিপুরে! মোদির সরকারের পরিকল্পনা জানালেন বিরেন]
NEET-UG পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয় ৬৭ জন পড়ুয়া ৭২০-র মধ্যে ৭২০ পাওয়ায়। এনটিএর তরফে দাবি করা হয়, একটি প্রশ্নে ভুল থাকায় এবং পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পেতে দেরি হওয়ার কারণে গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে NEET-এ গ্রেস নম্বর পাওয়া ১৫৬৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বহু মামলা রুজু হয়েছে। শীর্ষ আদালত এনটিএকে ভর্ৎসনা করে পরীক্ষাগ্রহণকে কেন্দ্র করে।
এদিকে নিট নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মাঝেই বুধবার ইউজিসি-নেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ইউজিসি-নেট (UGC-NET 2024) পরীক্ষা নেয়। প্রায় ৯ লক্ষের উপর পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নেন।
এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি,উচ্চস্তরের কমিটি তৈরি করে এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। কেউই পরিত্রাণ পাবেন না। সরকারের কাছে যে পড়ুয়াদের স্বার্থই অগ্রাধিকার পাবে সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: NEET বিতর্কের মাঝে বাতিল কেন্দ্রীয় স্তরের আরেক পরীক্ষা, ‘অনিবার্য কারণ’ দেখাল NTA]
নিট বিতর্ক ও নেট বাতিলের ইস্যুতে বিজেপিকে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রশ্ন, “এবার পরীক্ষা পে চর্চা হবে না?” বিজেপিকে নিশানা করছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। তাঁর বক্তব্য, “মোদি সরকারের লিকতন্ত্র দেশের যুব সমাজের জন্য সমূহ বিপদ ডেকে আনছে।”