সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানে বোমাতঙ্ক কার্যত নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবারের পর বুধবারেও দুটি উড়ানে বোমা রাখার আতঙ্ক ছড়াল। সবমিলিয়ে গত তিনদিনে ১২টি বিমানে এইভাবে বোমাতঙ্ক ছড়াল। বারবার ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন আমজনতা। ইতিমধ্যে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, নিত্যদিনের এই যাত্রী ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বেশ কয়েকটি নতুন নির্দেশিকা আনতে চলেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে অন্যতম হল স্কাই মার্শালের সংখ্যা বাড়ানো। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ানে মোতায়েন থাকেন এনএসজি কমান্ডোরা। তবে ইউনিফর্ম নয়, সাধারণ পোশাক পরে যাত্রী হিসাবে তাঁরা বিমানে চলাফেরা করেন। বুধবার বৈঠকের পর সম্ভবত এই এয়ার মার্শালদের সংখ্যা আরও বাড়াতে নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্র।
এছাড়াও ভুয়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। চলতি সপ্তাহে যতবার উড়ান বা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে, প্রত্যেকবারই নেপথ্যে ছিল ফোন বা ইমেল। বোমা রাখার খবর পেয়ে বিমানে তল্লাশি করে অবশ্য বিস্ফোরকের সন্ধান মেলেনি কোথাও বরং বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি। সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ফোন বা ইমেল যারা ছড়াচ্ছে তাদের নো-ফ্লাইং লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে, বুধবার বোমাতঙ্ক ছড়ায় আকাসা এবং ইন্ডিগোর দুটি বিমানে। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল আকাসার কিউপি ১৩৩৫ বিমানের। ১৭৭ জন যাত্রী ছিলেন ওই উড়ানে, তার মধ্য ৩জন শিশু। সঙ্গে ছিলেন সাত বিমানকর্মীও। আচমকাই খবর ছড়ায় সেই বিমানে বোমা রাখার খবর। তড়িঘড়ি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয় ওই বিমানটি। অন্যদিকে, মুম্বই থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগো বিমানেও বোমাতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। তবে দুই বিমানের কোথাও বোমা মেলেনি।