সুকুমার সরকার, ঢাকা: মধ্যরাতে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে গণধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঠাকুগাঁও এলাকায়। অভিযোগ, বন্ধুদের নিয়ে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায় দশম শ্রেণির ছাত্র। লাগাতার অত্যাচারে জ্ঞান হারায় ছাত্রী। এর পর বাড়ির পাশের রাস্তায় ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় প্রেমিকাকে ফেলে চম্পট দেয় তারা। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জনপদ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রী। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির উঠোনে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান বাবা-মা। ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন। রাতেই তাকে ঢোলারহাট বাজারের চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ডাক্তারই স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি সম্পর্কে জানান। পরদিন সকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্থানীয় মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ জানাতে যান ওই পরিবার। অভিযোগ, সারাদিন তাঁদেরকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। শেষে সন্ধেয় পুলিশের গাড়িতে তুলে নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তাড়াতাড়ি তৈরি করুন, আমি পুজো দিতে যাব’, বললেন মমতা]
অভিযুক্ত নির্যাতিতা জানান, অভিযুক্ত প্রেমিক ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সোমরাতে সে নবম শ্রেণির প্রেমিকাকে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডাকে। এর পর বাইকে চড়িয়ে মেয়েটিকে মুরগির খামারের ভিতর নিয়ে যায় প্রেমিক। সেখানে অভিযুক্ত নাবালক এবং তার চার-পাঁচজন বন্ধু মিলে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। অত্যাচারের চোটে জ্ঞান হারায় মেয়েটি। পরে জ্ঞান ফিরলে নাবালিকা দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনওরকমে বাড়ি পৌঁছয়।
নির্যাতিতা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: আরও রঙিন হবে কার্নিভ্যাল, একমাস ধরে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশনের নীল নকশা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
অন্যদিকে ঢাকার কাছাকাছি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সজল ও রাকিব নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে সদর ও বন্দর উপজেলার পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার এলাকার বাড়ির সামনে থেকে ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরীকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এরপর তাদের ধর্ষণ করে পরদিন রাত ১০টায় ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পরদিন দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।