সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধে বিরাম নেই। নরেন্দ্র মোদির সফরের মাঝেই ইউক্রেনে মিসাইল হামলার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করল রাশিয়া। বেপরোয়া মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের এক শিশু হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একাধিক শিশু-সহ এই হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১। পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ১৭০ জন। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অসংখ্য বহুতল।
এই হামলার রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, 'ইউক্রেনের ৫টি শহরকে লক্ষ্য করে ৪০টির বেশি মিসাইল হামলা চালানো হয়। যার জেরে একাধিক বহুতলের পাশাপাশি গুঁড়িয়ে গিয়েছে একটি শিশু হাসপাতালও। যার জেরে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জন শিশুও রয়েছে।' পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাশিয়ার এই নির্লজ্জ চেহারাটা গোটা বিশ্বের দেখা উচিত। এবং এই হামলার নিন্দা করা উচিত। যদি এই ধরনের হামলা বন্ধ না করা হয় তবে রাশিয়ার জঙ্গিরা এর যোগ্য জবাব পাবে।' ইউক্রেনের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিনের আলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার উন্নতমানের হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করা করা হয়েছে হামলার জন্য।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় মোদি-পুতিন ‘সখ্য’, প্রধানমন্ত্রী সফর নিয়ে কড়া বার্তা আমেরিকার]
যদিও ইউক্রেনের এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো অংশ তাদেরই শিশু হাসপাতালে আঘাত হেনেছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, হামলার পর বিস্ফোরণস্থল থেকে রাশিয়ার উন্নতমানের হাইপারসনিক মিসাইল ও কেএইচ ১০১ ক্রুজ মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। যা রাশিয়ার তৈরি মিসাইল। পাশাপাশি কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, হাসপাতালের হামলার ঘটনায় একজন চিকিৎসকসহ দুজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে হামলা চলাকালীন সেখানে ২০ জন শিশু চিকিৎসাধীন ছিলেন। উদ্ধারকারীদের দাবি, যে সব জায়গায় এই মিসাইল হামলা হয়েছে তা কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন।
[আরও পড়ুন: হাথরাসে ১২৩ মৃত্যুর দায় কার? যোগীকে ৮৫০ পাতার রিপোর্ট পেশ সিটের]
এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার রাশিয়ায় পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারতের ‘কূটনৈতিক সহযোগী’ আমেরিকা। সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ভারতকে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশদপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, “ভারতের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন রাশিয়াকে স্পষ্ট করে বলে দেয় যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনে হওয়া উচিত যাতে ইউক্রেনের অখণ্ডতা বজায় থাকে। রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যেসমস্ত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, প্রত্যেকের কাছেই আমরা একই অনুরোধ করি।”