দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পুজোর আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ঠাকুমা ও নাতি। শনিবার বিকালে তাঁদের জোড়া কঙ্কাল উদ্ধার হল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার গোটবেড়িয়া এলাকায়। ঘটনায় মৃতার স্বামী ও নাতনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম গঙ্গারানি দাস (৬০) এবং মানসরঞ্জন দাস (২০)। মানস মানসিক রোগী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ঘটনায় আটক করা হয়েছে গঙ্গারানির স্বামী সায়ন্তন দাস ও নাতনি প্রিয়াঙ্কা দাসকে। তাঁদের জেরা করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বরাতজোরে রক্ষা সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর, চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে এড়ালেন বড়সড় দুর্ঘটনা]
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ঠাকুমা ও নাতি। তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন বিকেলে আচমকাই ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তখনই এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ট্যাঙ্ক থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে। তারপরেই এলাকার মানুষের সন্দেহ করেন ওই কঙ্কাল আর কারোর নয়, ঠাকুমা ও নাতির। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান গঙ্গারানীর স্বামী ও নাতনির বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁদের আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কঙ্কালের টুকরোগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্য়াবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।