সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একদফা সময় কমল মোবাইল-আধার লিঙ্কের। এতদিন মার্চ পর্যন্ত মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার কথা শোনা গেলেও এবার কেন্দ্র সাফ জানাল, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই দুই গুরুত্বপূর্ণ নম্বর ‘লিঙ্ক’ করতেই হবে। সুপ্রিম কোর্টকে ১১৩ পাতার হলফনামা দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন আইনজীবী জোহেব হোসেন। কেন্দ্র জানিয়েছে, ই-কেওয়াইসি ভেরিফিকেশনের জন্য ও নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার বাধ্যতামূলক। তাই আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যেককে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করাতেই হবে।
[খিচুড়িকে জাতীয় খাবারের তকমা নয়, স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, লোকনীতি ফাউন্ডেশন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিককে মোবাইল ও আধার লিঙ্ক করানোয় সম্মতি জানায়। পাশাপাশি কেন্দ্র একথাও আদালতে স্পষ্ট করেছে যে আধার নেই বলে অনাহারে মৃত্যুর কোনও নজির ভারতে নেই। তবে আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্কের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র একা নিতে পারে না বলে জানিয়েছেন হোসেন। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যোগের মেয়াদ কিন্তু ৩১ মার্চ, ২০১৮-ই থাকছে। তবে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে মোবাইল ফোন ও আধার লিঙ্কের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় কেন্দ্রকে নিজের বক্তব্য জানাতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তথ্য গোপন রাখার অধিকারের দাবিতে আধার সংক্রান্ত অন্য একটি পিটিশন আদালতের বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ গ্রহণ করেছে।
কেন্দ্র একটি নয়া এফিডেভিটে জানিয়েছে, যাঁদের বর্তমানে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ৩১ মার্চের মধ্যে আধার লিঙ্ক করাতেই হবে। ৩১ মার্চের আগে কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবে না কেন্দ্র। কিন্তু নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পরিচয়পত্র হিসাব আধারের কোনও বিকল্প নেই। আধারের পক্ষে আদালতে জোরাল সওয়াল করেছেন কেন্দ্রের আইনজীবী। তাঁর মতে, বহু দেশ সাইবার হামলার শিকার হলেও ভারতে UIDAI-এর সার্ভারে কোনও হ্যাকার হানা দিতে পারেনি। ভারতে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে সাইবার হামলার মতো ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রের বাড়তি নজরদারির জন্য আধারের সার্ভার থেকে তথ্য চুরি যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।
[যে কোনও শরীরী স্পর্শই যৌন হেনস্তা নয়, মত আদালতের]
The post এবার মোবাইল ও আধার লিঙ্কের মেয়াদ কমল appeared first on Sangbad Pratidin.