স্টাফ রিপোর্টার: ফের উঠতি মডেলের আত্মহত্যা কলকাতার নাগেরবাজার এলাকায়। এবার নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha De Majumder)। বছর বাইশের এই মডেল একাধিক মডেলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সালে পেয়েছেন শারদসুন্দরী সম্মান।
নাগেরবাজারের (Nagerbazar) রামগড় কলোনি এলাকার বাসিন্দা গত দেড় মাস ধরে ভাড়া থাকতেন নাগেরবাজারে। বুধবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাইশ বছরের বিদিশা দে মজুমদারের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর পরিবার। বিদিশার বন্ধুরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গভীর হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। বন্ধুদের প্রায়ই বলতেন, নিজেকে শেষ করে দেবেন। সত্যিই যে তিনি এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা ভাবতে পারছেন না বন্ধুরা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মডেলিং করতেন। তাঁর বয়ফ্রেন্ড অনুভব বেরার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিদিশার পরিবার।
[আরও পড়ুন: ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা, আশরাফের কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন কানাইলাল]
কে এই অনুভব বেরা? জানা গিয়েছে জিমের ট্রেনারের কাজ করেন অনুভব। বিদিশার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুভব। এড়িয়ে চলছিলেন বিদিশাকে। দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্যের সেই শুরু। বিদিশার বন্ধুরা জানিয়েছেন, রাতের পর রাত ঘুমাতেন না বিদিশা। গভীর হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে উঠতি অভিনেত্রী পল্লবী দে‘র (Pallavi Dey)। ফের গ্ল্যামার জগতের আরও এক মডেলের মৃত্যুতে বিস্মিত রুপোলি দুনিয়ার ব্যক্তিত্বরা। বিদিশার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন। সম্প্রতি খুব একটা কথা বলতেন না কারও সঙ্গে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিদিশাদের বাড়ি কাঁকিনাড়া এলাকায়। সেখানেই এতদিন পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বিদিশা। মাসদেড়েক হল নাগেরবাজার এলাকার রামগড়ের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। বিদিশার বন্ধুরা জানিয়েছেন, ওই ফ্ল্যাটে আরেকজনের সঙ্গে ‘শেয়ার’ করে থাকতেন এই উঠতি মডেল। এদিন সন্ধের পর বন্ধুরা পরিবারকে খবর দেয়, বিদিশার দেহ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিদিশার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। দেহটি আর জি করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনুভব বেরা নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই এই ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।