সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাঁর মনে পড়ছে ২০০১ সালের কথা। সেই সময় ভুজের ভয়াবহ ভুমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। বর্তমান তুরস্কের সঙ্গে তৎকালীন গুজরাটের (Gujarat) মিল খুঁজে পেয়ে গভীর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপির সাংসদীয় বৈঠকের শুরুতেই সাংসদদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তুরস্কের সঙ্গে গুজরাটের তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তুরস্ককে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেটা খুব ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারত থেকে চারটি সাহায্যকারী দল পাঠানো হয়েছে তুরস্কে।
২০০১ সালে ৭.৬ মাত্রায় কেঁপে ওঠে গুজরাটের ভুজ। ভয়াবহ ভুমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দেড় লক্ষ মানুষ আহত হন। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। একই রকম বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে তুরস্কও (Turkey Earthquake)। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছুঁয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: ‘ডবল ইঞ্চিন নয়, ত্রিপুরায় চাই বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার, আগরতলার সভায় বললেন অভিষেক]
মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই বিজেপির সাংসদীয় বৈঠক ছিল। তার সূচনায় বক্তৃতা দিতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে বিপর্যয় ঘটে রাজ্যে। ভুজের ভূমিকম্পের পরিস্থিতি সামাল দিতে বহু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি, তুরস্কে এখন কী ভয়াবহ পরিস্থিতি।” বিধ্বস্ত দেশের পাশে দাঁড়াতে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পাঠানো হয়েছে তুরস্কে।”
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের পরেই জরুরি বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হবে তুরস্কে। ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে বিপুল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে প্রথম বিমান। বায়ুসেনার বিমানে প্রথম উদ্ধারকারী দলও পা রেখেছে তুরস্কে। মঙ্গলবারই আরও দু’টি দল তুরস্কে রওনা দেবে।