সুকুমার সরকার, ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার খুশির ইদ। গোটা বাংলাদেশজুড়ে মহা সমারোহে উদযাপিত হচ্ছে ইদ-উল-ফিতর। এলিটবাহিনী র্যাব ও পুলিশের আগেই জানানো হয়েছিল ইদের দিন দেশের কোথাও নাশকতার আশঙ্কা নেই। এদিনও নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। খুশির এই উৎসবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার ঢাকায় ভারতীয় কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে মোদির শুভেচ্ছাবার্তার কথা জানানো হয়। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছেন, "আমরা ইদ-উল-ফিতরকে ঐতিহ্য ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করি। পবিত্র ইদ বিশ্বজুড়ে মানুষকে সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখ প্রার্থনা করছি। বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়ার কামনা করছি।" এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: দৃষ্টান্ত সৌদি, কেন একদিন আগেই ইদ পালন বাংলাদেশে?]
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় রাজধানী ঢাকার হাই কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ইদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইদের প্রধান জামাতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য,সাংসদ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। জামাতে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা সকল দেশবাসীর আনন্দময় ও নিরাপদ ইদুল ফিতর কামনা করেছেন। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, "প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ইদুল ফিতর এসেছে। ইদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।' সরকারি বাসভবন গণভবনেই ইদ উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ইদের দিন সকাল ১০টা থেকে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক আধিকারিক-সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসিনা।